কল্কি অবতার এবং সনাতন ধর্মঃ একটি সত্যানুসন্ধান “অতঃপর দুইযুগের(কলিযুগ এবং সত্যযুগের) সন্ধিক্ষণে ভগবান কল্কি অবতার রুপে বিষ্ণুযশ নামক ব্...

সনাতন ধর্মের ইতিহাস ( হিন্দু ধর্মের ইতিহাস )

By 1:52:00 AM , ,

কল্কি অবতার এবং সনাতন ধর্মঃ একটি সত্যানুসন্ধান


“অতঃপর দুইযুগের(কলিযুগ এবং সত্যযুগের) সন্ধিক্ষণে ভগবান কল্কি অবতার রুপে বিষ্ণুযশ নামক ব্যক্তির পুত্র হিসেবে জন্ম গ্রহণ করবেন। ঐ সময় পৃথিবীর প্রায় সমস্ত শাসক অধঃপতিত হয়ে লুটেরা ও ডাকাতের পর্যায়ে নেমে যাবে।”- ভাগবতপুরাণ-১/৩/২৫
এটিও পড়ুন -  পুরাণ পড়ুন ও ডাউনলোড করুন - বাংলায় 
এর অর্থ হল ভগবান এই কলিযুগের শেষের দিকে কল্কি অবতার হিসেবে আবির্ভুত হবেন। তিনি অসাধু লোকদের বিনাশ করে দায়িত্ব শেষ করার পর খুব কম সংখ্যক লোক বেঁচে থাকবে, যারা সৎ এবং ধার্মিক। কল্কি অবতারের পর এই পৃথিবীতে আবার সত্যযুগ শুরু হবে। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী কলি যুগের সময়কাল হল ৪,৩২,০০০ বছর। এখন কেবল ৫,০০০ বছর চলছে।তার মানে কল্কি অবতারের জন্ম গ্রহণ করতে এখনও অনেক দেরি!!
এখন এই সময়ের হিসেব নিয়ে অনেকে কাছে একটু খটকা লাগতে পারে। কারণ,প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী আমরা জানি পৃথিবীতে শরীরের গঠনতন্ত্রের দিক থেকে আধুনিক মানুষের সূচনা হয়েছে ২ লক্ষ বছর আগে, এবং মানুষের আচরণে আধুনিকত্ব আসে প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে(উইকিপিডিয়া)। এই হল পৃথিবীতে মানুষের ইতিহাস নিয়ে আমাদের প্রচলিত বৈজ্ঞানিক ধারণা!!
কিন্তু এখানেই শেষে নয়, কিছু প্রশ্ন তবু থেকেই যায়। আসলেই কি আধুনিক মানুষ ২ লক্ষ বছর আগে এসেছিল? নাকি তারও আগে পৃথিবীতে মানুষ ছিল?জট বেধে যায় এখানেই। কারণ আমাদের অনেকেরই অগোচরে ঘটে যাচ্ছে অনেক ঘটনা, যা আমরা জানি না। প্রত্নতত্ববিদেরা এমন কিছু প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন, যা পৃথিবীতে মানুষের ইতিহাসের এই গতানুগতিক ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। প্রত্নতত্ববিধ্যার এই প্রশ্নবিদ্ধ দিকটাকে বলা হয় “Suppressed Archeology”।
**** এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন  ****

এই সাইটে গিয়ে অনেক কিছুর মধ্যে পাবেন, ১৯১৩ সালে তানজানিয়ায় পাওয়া একটি মানুষের মাথার কঙ্কাল, যা আধুনিক মানুষের মতো এবং এর বয়স প্রায় ৮ লক্ষ বছর!! ১৮৯৬ সালে বুয়েনসে পাওয়া একটি আধুনিক মানুষের মাথার খুলি, যার বয়স প্রায় ১০ লক্ষ বছর!! ১৮৮৯ সালে আইডাহোতে কাদা দিয়ে তৈরি একটি মানুষের ছোট মুর্ত্তি(পুতুল) পাউয়া যায়, যাটির বয়স প্রায় ২০ লক্ষ বছর!! প্রশ্ন আসে “২০ লক্ষ বছর আগে তো মানুষের অস্তিত্ব থাকার কথা নয়, তবে কে ঐ মুর্ত্তিটি তখন বানালো?” ১৮৬০ সালে ভূবিজ্ঞানী Giuseppe Ragazzoni ইতালিতে একটি আধুনিক মানুষের মাথার খুলি পান, যার বয়স প্রায় ৩০-৪০ লক্ষ বছর। প্রশ্ন আসে “কেন এবং কিভাবে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে আধুনিক মানুষ ইতালিতে আসল?” বাকিগুলো নিজে লিংক ওপেন করে দেখুন।
**** এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন  ****

এই ওয়েব পেইজে পাবেন রাসিয়াতে পাওয়া একটি অ্যালুমিনিয়ামের যন্ত্রাংশ, যার বয়স প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বছর!! ১৮৫১ ম্যাসাচুসেটস এর একটি খনির একটি কয়লার ব্লক থেকে পাওয়া যায় ৫০০ মিলিয়ন বছরের পুরনো হস্তশিল্প। আমেরিকান বিজ্ঞানী Oklahomaএকই জায়গা থেকে আবিষ্কার করেন একটি লোহার পাত্র, যার বয়স হবে প্রায় ৩১২ মিলিয়ন বছর।বেশিদিনের ঘটনা নয়, রাসিয়াতে উদগীর্ণ শিলার মধ্যে পাওয়া যায় একটি মেকানিক্যাল ডিভাইস, যার বয়স প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বছর!!! প্রশ্ন আসে, এতো বছর আগে কে এগুলো বানালো? তখন তো মানুষ ছিল না?
**** এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন  **** 

এই ওয়েবপেইজটিতে যান। পেইজটির প্রথমেই রয়েছে একটি ধাতব যন্ত্রাংশ, যার আছে ৩০ টি দাতোয়ালা হুইল, যা কি না ভিন্ন ভিন্ন গতিতে ঘুরতে সক্ষম। সময়ের হিসেব করে দেখা যায়, প্রথম যখন গিয়ার আবিষ্কৃত হয়, তারও প্রায় ১০০০ বছর পূর্বে এটি তৈরি!!পরের ছবিতে দেখবেন একটি ব্যাটারি , যা১৯৩৮ সালে ইরাকের বাগদাদে আবিষ্কৃত হয়, পরবর্তিতে ইরাকে একই ধরণের ব্যাটারি আরও কয়েকটি আবিষ্কৃত হয়, এবং সময়ের হিসেব করে দেখা যায়, আগুলো প্রায় ২০০০ বছর আগের পুরনো, কিন্তু আমরা জানি প্রথম ইলেক্ট্রিক ব্যাটারি আবিষ্কার করেন আলেসান্দ্রো ভোল্টা ১৭৯৯ সালে!! ১৮৯৮ সালে মিশরে পাওয়া যায় একটি নিদর্শন, যা গঠনগত দিক থেকে আধুনিক pusher-glider এর সাথে হুবহু মিলে যায়। এটিও প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো। দক্ষিণ আমেরিকায় হেলিকপ্টার সদৃশ হস্তশিল্প পাওয়া যায়, যা প্রায় ১০০০ বছরের পুরনো। বৈমানিক ইঞ্জিনিয়াররা এর মতো করে হুবহু বড় হেলিকপ্টার তৈরি করে তাতে হেলিকপ্টারের দরকারি ইঞ্জিন লাগিয়ে দেখেন, তা নির্ভুলভাবে ওড়ে এবং ল্যান্ডিং এও কোনো সমস্যা হয় না। কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা এবং পেরুতেও একই ধরণের হস্তশিল্প পাওয়া যায়। ক্যালিফোর্নিয়ায় পাওয়া যায় একটি স্পার্ক-প্লাগ, যেই হস্তশিল্পের বয়স প্রায় ৫ লক্ষ বছর!!! লন্ডনে পাওয়া যায় একটি হাতুরি, যার গঠনশৈলী অনেক আধুনিক এবং এটি যে পাথর খন্ড দ্বারা আবৃত, সেটির বয়স প্রায় ১০ মিলিয়ন বছর!!
**** এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন  **** 
এই লিংক এও কিছু তথ্য পেতে পারেন।
**** কিংবা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন  ****
 এই লিংকেও পাবেন, তবে এখানে যিনি স্পেসিমেন পেয়েছেন, তিনি তেমনভাবে কারও সাহায্য পান নি সত্য উদ্ধারে আরও এগিয়ে যাবার।
মাইকেল ক্রেমো সম্বন্ধেও একটু খোঁজ করে দেখতে পারেন। খোঁজ নিলে আরও অনেক উদাহরণ মিলবে!
উপরের উদাহরণগুলোকে কি বলবেন? ব্যতিক্রম? ব্যতিক্রম কথাটি কয়টার ক্ষেত্রে মেনে নিবেন? সনাতন ধর্ম অনুযায়ী পৃথিবীতে কোটি কোটি বছর ধরে মানুষের বসবাস, কখনও হয়েছে সভ্যতার উত্তান, কখনও পতন। কতো শহর, কতো লোকালয়, কতো ইতিহাস চাপা পড়েছে মাটির নিচে। সত্যকে চেপে রাখা যায় না।
########
এখন হিন্দুধর্মে সময়ের হিসেব দেখুন।
সত্যযুগ=১৭,২৮,০০০ বছর
ত্রেতাযুগ= ১২,৯৬,০০০ বছর
দ্বাপরযুগ= ৮,৬৪,০০০ বছর
কলিযুগ= ৪,৩২,০০০ বছর
চারযুগ মিলে এক চতুর্যুগ= ৪.৩২ মিলিয়ন বছর
১০০০ চতুর্যুগ= এক “কল্প”= ব্রহ্মার একদিন= ব্রহ্মার একরাত= ৪.৩২ বিলিয়ন বছর
১০০ বছর হল ব্রহ্মার আয়ু= আমাদের এই ব্রহ্মান্ডের আয়ু= ৩১১.০৪ ট্রিলিয়ন বছর।
আবার এক “কল্প” সময়ের মধেয় ১৪ জন মনু আসেন। প্রথম মনুকে বলা হয় স্বায়ম্ভুব মনু এবং তাঁর স্ত্রী হলেন স্বতরুপা(এই ব্রহ্মান্ডের প্রথম নারী ও পুরুষ)। প্রত্যেক মনুর সময়কালকে বলা হয় মন্বন্তর।
১ মন্বন্তর= ৭১ চতুর্যুগ= ৩০৬.৭২ মিলিয়ন বছর
ছয়জন মনু গত হয়েছেন, মানে ৬টি মন্বন্তর চলে গিয়েছে। আমরা আছি সপ্তম মনুর অধীনে যাঁর নাম “বিবস্বত মনু”। তার মানে, এই মনুর পরে আরও ৭ জন মনু আসবেন, আরও ৭ টি মন্বন্তর অতিবাহিত হবে। তারপর পূর্ণ হবে ব্রহ্মার একদিন!! তারপর হবে রাতের শুরু!!
এখন গীতা কি বলে দেখি-
“মনুষ্যমানের সহস্র চতুর্যুগে ব্রহ্মার একদিন হয় এবং সহস্র চতুর্যুগে তাঁর এক রাত হয়।…………। ব্রহ্মার দিনের সমাগমে সমস্ত জীব অব্যক্ত থেকে অভিব্যক্ত হয় এবং ব্রহ্মার রাত্রির সমাগমে সমস্ত জীব আবার অব্যক্তে লয়প্রাপ্ত হয়।”গীতা-৮/১৭-১৮
“…কল্পের শেষে সমস্ত জড় সৃষ্টি আমারই প্রকৃতিতে প্রবেশ করে এবং পুনরায় কল্পের শুরুতে প্রকৃতির দ্বারা আমি তাদের সৃষ্টি করি।”গীতা-৯/৭
“……আমার অধ্যক্ষতার দ্বারা(পরিচালনায়) জড়া প্রকৃতি এই চরাচর বিশ্ব সৃষ্টি করে। প্রকৃতির নিয়মে এই জগৎ পুনঃ পুনঃ সৃষ্টি হয় এবং ধ্বংস হয়।”
বিঃ দ্রঃ হিন্দুদের প্রচার বিমুখতার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো আজও শুধু ধর্মগ্রন্থের পাতায় সীমাবদ্ধ! অন্যের প্রশ্নের সামনে আমরা নুয়ে পড়ি, না জানার লজ্জায়, অথচ কতো সমৃদ্ধ আমাদের ইতিহাস। সারা জীবন আমরা অন্যের উপহাসের পাত্রই রয়ে গেলাম, শুধু নিজেদের সম্বন্ধে না জানার জন্য। তাই সত্যকে জানুন, জানিয়ে দিন সবাইকে।
হিন্দুধর্ম




সনাতন ধর্মের ইতিহাস

অনেকেই বলে সনাতন ধর্মের ইতিহাস নেই, আবার অনেকেই নানা রকম যুক্তি দিয়ে আসল জিনিসটা এড়িয়ে যায় না জানার কারণে, এই কারণে বিধর্মীরা আমাদের এই সুযোগটা বেশি নেয় এই বলে যে “তোদের ধর্মের তো কোন ইতিহাসই নেই।” আসলেই সনাতন ধর্মের ইতিহাস আছে কিনা, তা আজ দ্বিতীয়বারের মত আমি তুলে ধরার চেষ্টা করব আপনাদের সামনে।
 পুরাণ পড়ুন ও ডাউনলোড করুন - বাংলায় 
 আমরা জেনেছি, আমাদের এই ব্রহ্মান্ডের জীব সৃষ্টির দায়িত্বে নিয়োজিত দেবতা প্রজাপতি ব্রহ্মার(চতুর্মুখ ব্রহ্মার) আয়ু তথা এই ব্রহ্মান্ডের আয়ু হল ১০০ বছর(মহাভারত অনুযায়ী এক বছর= ৩৬০ দিন) মানে আমাদের সময় অনুযায়ী ৩১১.০৪ ট্রিলিয়ন বছর। ব্রহ্মার আয়ু তথা ১০০ বছর শেষ হলে ঘটবে মহাপ্রলয় বা প্রাকৃতিক প্রলয়, এই পুরা ব্রহ্মান্ড(স্থাবর জঙ্গম যা কিছু আছে) ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
ব্রহ্মার ১ মাস= ৩০ দিন, এই ৩০ দিনে ৩০ টি কল্প গত হয়, কল্প বলতে প্রধানত কেবল দিবাভাগকে ফোকাস করা হয়, রাত নয়। ৩০ টি কল্পের ৩০ টি নাম আছে। প্রথম কল্পের নাম শ্বেত-বরাহ কল্প বা অনেক জায়গায় আছে শ্বেত কল্প।
এই কল্পের ১৪ জন মনুর নাম হলঃ স্বায়ম্ভুব, স্বরোচিষ, উত্তম, তামস, রৈবত, চাক্ষুস, বৈবস্বত বা সত্যব্রত, সাবর্ণি, দক্ষসাবর্ণি, ব্রহ্মসাবর্ণি, ধর্মসাবর্ণি, রুদ্রসাবর্ণি, দেবতাসাবর্ণি ও ইন্দ্রসাবর্ণি। কল্প হল ব্রহ্মার দিন বা দিবাভাগ, আরও জানুন, ২ কল্পের সমান সমাম সময়= ব্রহ্মার ১ দিন + ১ রাত; কিন্তু কল্প বলতে কেবল দিবাভাগকেই ফোকাস করা হয়। এখানে মনে রাখা দরকার, প্রত্যেক মন্বন্তর শেষে একটি করে খন্ড প্রলয় ঘটে, এই সময়ে পৃথিবী এবং জীবসমুহ অব্যক্ত বা লয়প্রাপ্ত হয়। আর ব্রহ্মার দিন বা কল্পের শেষে ঘটে নৈমিত্তিক প্রলয়। এক্ষেত্রে গীতা বলে “…কল্পের শেষে সমস্ত জড় সৃষ্টি আমারই প্রকৃতিতে প্রবেশ করে এবং পুনরায় কল্পের শুরুতে প্রকৃতির দ্বারা আমি তাদের সৃষ্টি করি।”গীতা-৯/৭
তাহলে ব্রহ্মার এক বছরে আসেন ৫০৪০ জন মনু, এবং ব্রহ্মার আয়ুষ্কাল তথা এই ব্রহ্মান্ডের আয়ুষ্কাল জুড়ে মোট ৫০৪,০০০ জন মনু আসেন এবং তাঁরা আসেন ভিন্ন ভিন্ন নামে। একেকজন মনুর আয়ুষ্কাল হল ৩০৬.৭২ মিলিয়ন বছর এবং এই সময় হল মহাবিষ্ণুর এক নিঃশ্বাস নিতে যেটুকু সময় লাগে সেইটুকু!!! মহাবিষ্ণুর প্রত্যেকটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সাথে একজন করে মনু আসে আর যায় তথা একটি করে মন্বন্তর শেষ হয়।
আমি বলেছিলাম, এটা সপ্তম মন্বন্তর চলছে আর আমরা সপ্তম মনু “বৈবস্বত মনু” এর অধীনে আছি। তাঁর আরেক নাম সত্যব্রত। তিনি সূর্যদেব বিবস্বানের পুত্র। এ প্রসঙ্গে আমরা গীতার জ্ঞানযোগ নামক ৪র্থ অধ্যায়ের প্রথম শ্লোকে দেখতে পাই,
“……আমি পূর্বে সূর্যদেব বিবস্বানকে এই অব্যয় নিষ্কাম কর্মসাধ্য জ্ঞানযোগ বলেছিলাম। তিনি তা মানবজাতির জনক বৈবস্বত মনুকে বলেছিলেন। মনু আবার তা নিজ সন্তান ইক্ষাকুকে বলেছিলেন।”
অর্থাৎ অবতার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের আগেও সর্বশেষ প্রায় ১২০.৫৩ মিলিয়ন বছর আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সূর্যদেব বিবস্বানকে গীতাজ্ঞান দান করেছিলেন। কিন্তু কালের প্রবাহে তা ধীরে ধীরে নষ্ট বা বিলুপ্ত হয়, মানুষ ভুলে যায়, তাই ৫০০০ বছর আগে জন্মগ্রহণ করে আবার অর্জুনকে তিনি এই জ্ঞান দান করেন, এবং ঋষি ব্যাসদেব তা লিপিবদ্ধ করায় একই সাথে সারা পৃথিবীর মানবজাতিও আবার এই পবিত্র গীতা জ্ঞানের সান্নিধ্য লাভ করে।
বিশেষ আকর্ষণঃ
উপরের ডাটা যারা মনযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা এখন ব্রহ্মান্ডের বয়স তথা সনাতন ধর্মের বয়স জানুন!
############# ব্রহ্মার ৫০ বছর গত হয়েছে। বর্তমানে তাঁর ৫১ তম বছরের প্রথম দিন বা প্রথম কল্প চলছে। তাই বর্তমান কল্পের নাম শ্বেত-বরাহ কল্প। এই কল্পের আবার ৭ম মন্বন্তর বা বৈবস্বত মন্বন্তর চলছে। এই মন্বন্তরের ২৭ টি চতুর্যুগ বা মহাযুগ গত হয়েছে এবং ২৮ তম চতুর্যুগ বা মহাযুগের সত্য, ত্রেতা এবং দ্বাপরযুগ শেষ হয়েছে। সুতরাং এখন ২৮ তম মহাযুগের কলিযুগ চলমান, যার ৫১১৫ বছর পার হয়ে গিয়েছে, অর্থাৎ এই কলিযুগ শুরু হয়েছে মোটামুটি খ্রিস্টপূর্ব ৩২০১ অব্দের ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাতে বা সন্ধিক্ষণে! সুতরাং সনাতন ধর্মের হিসাব মতে আমাদের এই ব্রহ্মান্ডের বয়স হল ১৫৫,৫২১,৯৭১,৯৪৯,১১৫ বছর (২০১৩ সাল পর্যন্ত)!!!!!
কে বলে সনাতন ধর্মের ইতিহাস নেই? তাদের মুখের উপর ছুড়ে দিন!!! নিজে জানুন, অন্যকে জানতে দিন। শেয়ার করুন।
তথ্যসূত্রঃ http://en.wikipedia.org

You Might Also Like

3 comments

Advertisement